কবি,বাচিক শিল্পী,উপস্থাপক ও ব্যাংকার মাসুদ রানা পূর্বাপরের মুখোমুখি
তিনি নারায়নগঞ্জের সন্তান। নারায়নগঞ্জের সৈয়দপুরে তার বেড়ে উঠা। সরকারী তোলারাম কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স কমপ্লিট করে শিক্ষা জীবন শেষ হয়েছে। পেশাগত জীবনে তিনি একজন ব্যাংক অফিসার। পেশাগত জীবনের বাহিরে তিনি একজন লেখক, আবৃত্তি শিল্পী ও অনুষ্ঠান উপস্থাপক।
১.সাহিত্য সংস্কৃতির কোন কোন শাখায় কাজ করতে আপনি স্বাচ্ছন্দবোধ করেন।
=কবিতা লিখতে খুব ভালো লাগে। এছাড়া কবিতা আবৃত্তি ও অনুষ্ঠান উপস্থাপনা আমার ভালোবাসার জায়গা। এসব গুলোকে নিয়েই কাজ করতে ভালোবাসি।
২.মানুষ হিসেবে সামাজিক দায় আছে।এটা আপনি কি ফিল করেন?
=অবশ্যই একজন মানুষ হিসেবে সমাজ ও দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা রয়েছে। আমার সাহিত্যকর্মে দেশ তথা সমাজের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরার চেষ্ঠা করি।
৩.আপনার সমাজকর্ম,কবিতা,গল্প,উপন্যাস বা সঙ্গীতে কি সেই দায় পরিশোধের চেষ্টা করেন?
=একজন লেখক তথা বাঙ্গালি হিসেবে আমি আমার দেশকে অনেক ভালোবাসি। দেশপ্রেম ও সমাজ সচেতনতা নিয়ে আমার অনেক কবিতা রয়েছে।
৪.যুগটা এখন ভঙ্গুর এবং সাম্প্রদায়িক সংঘাতের কাল।কেনো এমন হচ্ছে বলে আপনি মনে করেন?
=মানবিকতার দুর্ভিক্ষ চলছে বর্তমান পৃথিবীতে। হিংসা, বিদ্বেষ, ক্ষমতার অপব্যবহার, এসবের জন্যই এমনটা হচ্ছে। আমাদের মানবিক বোধকে জাগ্রত করতে হবে।
৫.সুন্দর পৃথিবী গড়তে হলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে হবে।মানুষকে বিজ্ঞানমনস্ক করতে হবে,আপনি কি এর সঙ্গে একমত?
=অবশ্যই একমত। সুস্থ ও সুন্দর পৃথিবী গড়তে হলে আমাদের সাম্প্রদায়িকতার উর্ধে থেকে কাজ করতে হবে। বিজ্ঞান ও সাহিত্যের চর্চা করতে হবে। পৃথিবীটা আমাদের এবং আমরাই পারি পৃথিবীটাকে সুন্দর করে সাজাতে।
৬.মানুষকে বিজ্ঞানমনস্ক করতে হলে কী কী উদ্যোগ নিতে হবে বলে আপনি মনে করেন?
=আধুনিক যুগ বিজ্ঞানের যুগ। বিজ্ঞানের অগনিত সুফল দৈনন্দিন জীবনে আমরা উপভোগ করছি। স্কুল
ও কলেজ গুলোতে বিজ্ঞান চর্চার বিষয়ে আরো সচেতনতা বাড়াতে হবে। এজন্য গবেষনাগারের সংখ্যা বাড়াতে হবে। মানুষকে বিজ্ঞানমনস্ক করার জন্য বিভিন্ন সময়ে বিজ্ঞান ভিক্তিক বই মেলার আয়োজন করা যেতে পারে। এছাড়াও সরকারী উদ্যোগে আরো বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন করা যেতে পারে।
Leave a Reply